ধর্ম ডেস্ক
৫ মার্চ ২০২৫, ১৪:১৫
দেশের প্রত্যেক জেলার মতো হবিগঞ্জ জেলার মুসলমানরাও গুরুত্বের সঙ্গে পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালন করেন। পুরো এক মাস রোজা পালনের মাধ্যমে তারা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করেন।
ঠিকমতো রোজা পালনের জন্য অন্যান্য জেলার মতো হবিগঞ্জ জেলার মানুষেরাও সঠিক সময়ে সাহরি ও ইফতার করেন। এই মাসে সঠিক সময়ে সাহরি ও ইফতার গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ধর্মীয় বিধান মেনে রোজা পালনের জন্য সহায়ক।
সময় মতো ইফতার ও সাহরি খাওয়ার বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যতদিন মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে ততদিন দ্বীন ইসলাম বিজয়ী থাকবে। কেননা, ইহুদি ও নাসারাদের অভ্যাস হলো ইফতার দেরিতে করা। (আবু দাউদ)
রমজান | তারিখ | সেহরি | ইফতার |
---|---|---|---|
১ | ২ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৫৬ | ০৬:০১ |
২ | ৩ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৫৫ | ০৬:০১ |
৩ | ৪ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৫৫ | ০৬:০২ |
৪ | ৫ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৫৪ | ০৬:০২ |
৫ | ৬ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৫৩ | ০৬:০৩ |
৬ | ৭ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৫২ | ০৬:০৩ |
৭ | ৮ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৫১ | ০৬:০৪ |
৮ | ৯ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৫০ | ০৬:০৪ |
৯ | ১০ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৪৯ | ০৬:০৫ |
১০ | ১১ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৪৮ | ০৬:০৫ |
১১ | ১২ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৪৭ | ০৬:০৬ |
১২ | ১৩ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৪৬ | ০৬:০৬ |
১৩ | ১৪ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৪৫ | ০৬:০৬ |
১৪ | ১৫ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৪৪ | ০৬:০৭ |
১৫ | ১৬ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৪৩ | ০৬:০৭ |
১৬ | ১৭ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৪২ | ০৬:০৭ |
১৭ | ১৮ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৪১ | ০৬:০৮ |
১৮ | ১৯ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৪০ | ০৬:০৮ |
১৯ | ২০ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৩৯ | ০৬:০৯ |
২০ | ২১ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৩৮ | ০৬:০৯ |
২১ | ২২ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৩৭ | ০৬:১০ |
২২ | ২৩ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৩৫ | ০৬:১০ |
২৩ | ২৪ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৩৪ | ০৬:১০ |
২৪ | ২৫ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৩৩ | ০৬:১১ |
২৫ | ২৬ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৩২ | ০৬:১১ |
২৬ | ২৭ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৩১ | ০৬:১২ |
২৭ | ২৮ মার্চ ২০২৫ | ০৪:২৯ | ০৬:১২ |
২৮ | ২৯ মার্চ ২০২৫ | ০৪:২৮ | ০৬:১৩ |
২৯ | ৩০ মার্চ ২০২৫ | ০৪:২৭ | ০৬:১৩ |
৩০ | ৩১ মার্চ ২০২৫ | ০৪:২৫ | ০৬:১৪ |
সূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন
নিজস্ব প্রতিবদক : চলমান ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।
শনিবার সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতি তারা বলেন, ইসরাইল পৃথিবীর শান্তি ও মানবতা ধ্বংস করছে। মুসলিম বিশ্বকে আসন্ন মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। ইসরাইলের পতন অনিবার্য বলেও মন্তব্য করেন তারা।
বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, চলমান ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে আমরা গণহত্যাকারী দখলদার জায়োনিস্ট ইসরাইলের ধ্বংস কামনা করি। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মার্কিন শাসকগোষ্ঠী সবসময় ইসরাইলের সব আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধ সমর্থন দিয়ে গেছে। শুধু তা-ই নয়, বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম ও গোয়েন্দা সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলকে। জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি প্রভাবশালী দেশও এতে জড়িত। ইসরাইল একা নয়। ইসরাইলের ভাগ্য মিশে আছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও ইউরোপের মোড়ল দেশগুলোর পতনের সাথে। ফলে পৃথিবী ক্রমে একটি মহাযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আমরা মনে করি। সাম্রাজ্যবাদের দাসত্ব, ভোগবাদিতা ও উদাসীনতা পরিহার করে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে আসন্ন সেই মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। আধুনিক যুদ্ধকৌশল ও সামরিক উৎকর্ষ লাভে মুসলিম বিশ্বকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে আরো এগিয়ে যেতে হবে।
তারা আরো বলেন, যখন ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল, তখন কথিত মানবতার ধ্বজাধারী আমেরিকা নিশ্চুপ দেখে যায়। আর ইসরাইল প্রতিরোধের শিকার হলেই হুক্কাহুয়া রব তোলে নির্লজ্জ ইউরোপ-আমেরিকা। তাদের মুখোশ খসে পড়ে। এরা কখনো বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, বরং বারবার যুদ্ধ ও ধ্বংস ডেকে এনেছে। মুসলিম বিশ্বকে পদানত করতে চেয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত পরাজয় বরণ করে লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়।
হেফাজত নেতারা বলেন, মুসলিম বিশ্বের ওপর বারবার যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ইরানকে যুদ্ধে নামতে বাধ্য করেছে আমেরিকা ও ইসরাইল। ইরানকে দমাতে পারলে অন্যান্য প্রভাবশালী মুসলিম দেশেও আগ্রাসন চালানো হতে পারে। সামরিকভাবে শক্তিশালী কোনো মুসলিম রাষ্ট্রকে টিকে থাকতে দিতে চায় না ইউরোপ-আমেরিকা। ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে সেই পুরনো ক্রুসেড আধুনিক রূপে আজও তারা জারি রেখেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ফ্যাসিবাদি শাসনের পুনরাবৃত্তি ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ মোকাবেলায় ইসলামী ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক শক্তির ঐক্য অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, অতীতে আমরা যেভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকেছি, ভবিষ্যতেও সেই ঐক্য অটুট রাখতে হবে।
শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মাসিক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সমসাময়িক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। পরে ২৭ জুন ‘মুসলিম ভূখণ্ডে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে’ দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া ২৯ জুন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিকশা প্রতিকে মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীদের সাক্ষাৎ গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনার দিন নির্ধারিত হয়।
দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের পরিচালনায় বৈঠকে মামুনুল হক আরো বলেন, ইরান ও অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ কেবল ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত নয়; এটি ইনসাফ বনাম দখলদারিত্বের একটি স্পষ্ট রূপ। ইরান যে সাহসিকতায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি আত্মমর্যাদাময় দৃষ্টান্ত। এটি কেবল ফিলিস্তিন নয়—সারা মুসলিম জাতির অস্তিত্ব ও আত্মরক্ষার লড়াই।
তিনি বলেন—ইসলামী বিশ্বের সকল শক্তিকে এখন ঐক্যবদ্ধভাবে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে তাদের আকাশপথ ইসরাইলের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। এই মুহূর্তে দ্বিধাহীন ও আপসহীন ইনসাফের পক্ষে অবস্থান নেওয়া সময়ের জরুরি দাবি।
‘জুলাই সনদ’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন—ঘোষিত সম্ভাব্য জাতীয় ঐক্যরূপরেখা একটি জবাবদিহিমূলক রাজনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে। তবে তাতে ইসলামপন্থীদের যথাযথ স্বীকৃতি ও অংশগ্রহণ না থাকলে প্রকৃত জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে না,বরং স্থিতিশীলতা আরও সংকটাপন্ন হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন—সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মুফতি সাঈদ নূর, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মুফতি ওজায়ের আমীন, মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, মাওলানা মুহসিনুল হাসান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ) আয়োজিত ‘রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ও বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, গুটিকয়েক মানুষ যেভাবে বলবে দেশ সেভাবে চলতে পারে না। আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালেও পালিয়েছে, ২০২৪ সালেও একই কাজ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সমস্যা দেখে পালিয়ে যাননি বরং তার সমাধান করেছেন। তাঁর সততা ও দেশ প্রেম ছিল প্রশ্নহীন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি জন আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে বলেই তারা রাষ্ট্র কাঠামোর মেরামতের জন্য ৩১ দফা প্রণয়ন করেছে। জাতিকে ছোট করার জন্য সব ধরনের কাজ করছে বিগত আওয়ামী সরকার। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি চর্চা করে। তারা বিএনপির চেয়ারপারসনের ওপর অনেক নির্যাতন চালিয়েছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো আছে বলেন জানান জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের ক্ষমতার কোনো মোহ ছিল না। তার শাসনামলে প্রথম চাল রপ্তানি হয়েছিল। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ দিয়েই তিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।
এনআরএফ সদস্য সচিব ফরিদ আহম্মেদের সঞ্চালনায় সংগঠনটির আহ্বায়ক ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন রুনু। বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এম শহীদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস, এ, ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন প্রমুখ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যদি নিহত হন, তাহলে তার উত্তরসূরি হিসেবে তিনজন জ্যেষ্ঠ আলেমের নাম নির্ধারণ করে গেছেন তিনি। খামেনি নির্দেশ দিয়েছেন, যদি তাকে হত্যা করা হয়, তাহলে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচনকারী সংস্থা ‘অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টস’ এই তিনজনের মধ্য থেকেই একজনকে নির্বাচিত করবে। শনিবার ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তিনজন হলেন-মোজতবা খামেনি, আলিরেজা আরাফি, আলী আসগর হেজাজি।
মোজতবা খামেনি :
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ৫৫ বছর বয়সি ছেলে মোজতবা একজন মধ্যম স্তরের ধর্মযাজক, যিনি মূলত জনসাধারণের দৃষ্টির বাইরে থেকেই কাজ করেন। নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিষয় সমন্বয়ের ক্ষেত্রে তিনি পর্দার অন্তরালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বলে মনে করা হয় এবং বিশেষ করে তিনি বিপ্লবী গার্ডের ঘনিষ্ঠ। অনেক পর্যবেক্ষক বিশ্বাস করেন যে খামেনি নীরবে তাকে উত্তরাধিকারের জন্য প্রস্তুত করছেন। তবে, ক্ষমতার একটি বংশীয় হস্তান্তর ইরানের মতো রক্ষণশীল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে পারে।
আলিরেজা আরাফি :
আলিরেজা আরাফি খামেনির একজন অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য সহযোগী। আরাফি গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে রয়েছেন। যেমন- বিশেষজ্ঞরা পরিষদের উপ-সভাপতি, গার্ডিয়ান কাউন্সিলের সদস্য, এবং কুম শহরের শুক্রবারের নামাজের নেতা। তার ইরানের ক্ষমতার কাঠামোর প্রতি গভীর জ্ঞান এবং বোঝাপড়া রয়েছে তার।
আলী আসগর হেজাজি :
সর্বোচ্চ নেতার কার্যালয়ে রাজনৈতিক-নিরাপত্তা বিষয়ক উপ-পরিচালক হিসেবে পরিচিত হেজাজির পর্দার আড়ালে বিশাল প্রভাব রয়েছে। রয়টার্স তাকে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে বর্ণনা করেছে। তিনি নিরাপত্তা কার্যক্রম সরাসরি তত্ত্বাবধান করে থাকেন। গার্ড ও ধর্মীয় এলিট উভয়ের সঙ্গেই তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি একজন ধর্মীয় নেতা নন, তবে খামেনির সঙ্গে তার সান্নিধ্য তাকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
বরিশাল প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, ৫ আগস্ট যে বিপ্লবের অবস্থা তৈরি হয়েছিল তার আগের ১৫ বছরের বাংলাদেশ যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল তার অন্যতম প্রধান কারন ছিল ভোটার বিহীন নির্বাচন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে আমরা স্বাগত জানাই কিন্তু দশটি হুন্ডা, ২০ টি গুন্ডা, ৪০ টি ডান্ডা নির্বাচন ঠান্ডা এই নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। একটি সুষ্ঠু সঠিক নির্বাচনই ট্রেনচ্যুত বাংলাদেশকে আবার সঠিক রেল লাইনের উপরে উঠতে সাহায্য করতে পারে।
শনিবার (২১জুন) সকাল ১০টায় বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বরিশাল বিভাগের ২১ আসনের দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। কেউ যদি আবার ভোটারবিহীন নির্বাচনের দিকে আগায়, তাহলে তাদের পরিণতি অতীতের মতোই হবে। তিনি আরও বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সরকারের দায়িত্ব। এর জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে হবে। ষড়যন্ত্রমূলক কোনো নির্বাচন দেশবাসী মেনে নেবে না।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের আরো বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহীনি থেকে শুরু করে যেখানে যেখানে পরিবর্তন প্রয়োজন তার ব্যাবস্থা করতে হবে। তারপরেই নির্বাচনের সুনিদিষ্ট তারিখ ইসি ঘোষনা করবে এতে জামায়াতের কোন আপত্তি নেই।
ষড়যন্ত্রমূলক আর কোন নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ অংশগ্রহন করবেনা।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সংস্কারের দিক নির্দেশ করে তিনি বলেন, আমরা চাই দেশে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠিত হোক লোয়ার হাউস ও আপার হাউস। আপার হাউস নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত হবে এবং কেউ দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনার হাতে ইতোমধ্যে একটি নোবেল এবং অনেক সম্মান রয়েছে। আপনি চাইলে সামনে আরও একটি নোবেল পেতে পারেন। বিচ্যুত বাংলাদেশকে আপনি সঠিক রেললাইনে উঠিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা পালন করুন।
এসময় তিনি আরো বলেন, দেশ পজিটিভ দিকে অগ্রসর হচ্ছে। জনগণের মধ্যে একটি আশাবাদী আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। তবে অতীতের মৌলিক সংস্কারগুলো এখনও হয়নি, যা পরিবর্তনের পথে বড় অন্তরায় হয়ে আছে। পৃথিবীর কোনো দেশই ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত নয়। তাই বাংলাদেশকেও এমন ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা মাথায় রেখেই সঠিক ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের মানুষ অনেকটাই জেগে উঠেছে, এখন তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি।
আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) জামায়াতের সেক্রেটারি ডঃ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, বরিশাল জেলা আমীর অধ্যাপক আবদুল জব্বারসহ বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দরা।
এর আগে আগামী নির্বাচনে বরিশাল সদর ৫ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মুয়াযযম হোসাইন হেলাল সহ মোট ২১ আসেনের প্রার্থী ঘোষনা করা হয়।