মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১ পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

হবিগঞ্জ জেলার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫

ধর্ম ডেস্ক

৫ মার্চ ২০২৫, ১৪:১৫

দেশের প্রত্যেক জেলার মতো হবিগঞ্জ জেলার মুসলমানরাও গুরুত্বের সঙ্গে পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালন করেন। পুরো এক মাস রোজা পালনের মাধ্যমে তারা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করেন। 

ঠিকমতো রোজা পালনের জন্য অন্যান্য জেলার মতো হবিগঞ্জ জেলার মানুষেরাও সঠিক সময়ে সাহরি ও ইফতার করেন। এই মাসে সঠিক সময়ে সাহরি ও ইফতার গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ধর্মীয় বিধান মেনে রোজা পালনের জন্য সহায়ক। 

সময় মতো ইফতার ও সাহরি খাওয়ার বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যতদিন মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে ততদিন দ্বীন ইসলাম বিজয়ী থাকবে। কেননা, ইহুদি ও নাসারাদের অভ্যাস হলো ইফতার দেরিতে করা। (আবু দাউদ)

হবিগঞ্জ জেলার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫

রমজানতারিখসেহরিইফতার
২ মার্চ ২০২৫০৪:৫৬০৬:০১
৩ মার্চ ২০২৫০৪:৫৫০৬:০১
৪ মার্চ ২০২৫০৪:৫৫০৬:০২
৫ মার্চ ২০২৫০৪:৫৪০৬:০২
৬ মার্চ ২০২৫০৪:৫৩০৬:০৩
৭ মার্চ ২০২৫০৪:৫২০৬:০৩
৮ মার্চ ২০২৫০৪:৫১০৬:০৪
৯ মার্চ ২০২৫০৪:৫০০৬:০৪
১০ মার্চ ২০২৫০৪:৪৯০৬:০৫
১০১১ মার্চ ২০২৫০৪:৪৮০৬:০৫
১১১২ মার্চ ২০২৫০৪:৪৭০৬:০৬
১২১৩ মার্চ ২০২৫০৪:৪৬০৬:০৬
১৩১৪ মার্চ ২০২৫০৪:৪৫০৬:০৬
১৪১৫ মার্চ ২০২৫০৪:৪৪০৬:০৭
১৫১৬ মার্চ ২০২৫০৪:৪৩০৬:০৭
১৬১৭ মার্চ ২০২৫০৪:৪২০৬:০৭
১৭১৮ মার্চ ২০২৫০৪:৪১০৬:০৮
১৮১৯ মার্চ ২০২৫০৪:৪০০৬:০৮
১৯২০ মার্চ ২০২৫০৪:৩৯০৬:০৯
২০২১ মার্চ ২০২৫০৪:৩৮০৬:০৯
২১২২ মার্চ ২০২৫০৪:৩৭০৬:১০
২২২৩ মার্চ ২০২৫০৪:৩৫০৬:১০
২৩২৪ মার্চ ২০২৫০৪:৩৪০৬:১০
২৪২৫ মার্চ ২০২৫০৪:৩৩০৬:১১
২৫২৬ মার্চ ২০২৫০৪:৩২০৬:১১
২৬২৭ মার্চ ২০২৫০৪:৩১০৬:১২
২৭২৮ মার্চ ২০২৫০৪:২৯০৬:১২
২৮২৯ মার্চ ২০২৫০৪:২৮০৬:১৩
২৯৩০ মার্চ ২০২৫০৪:২৭০৬:১৩
৩০৩১ মার্চ ২০২৫০৪:২৫০৬:১৪

সূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • সাংবাদিক আনিস আলমগীর ৫ দিনের রিমান্ডে

    আদালত প্রতিবেদক : সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায দায়ের করা মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

    সোমবার তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামির সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। 

    শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত  চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

    রোববার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের একটি জিম থেকে বের হওয়ার পর আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়। 

    এর আগে ১৪ ডিসেম্বর রাতে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলা করেন জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ। মামলার অপর আসামিরা হলেন-মারিয়া কিসপট্টা (ফ্যাশন মডেল) ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ (উপস্থাপক)। 

    মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়,  ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে ঘাপটি মেরে দেশে অবস্থান করছেন। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করা এবং অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র করে আসছে। 

    আসামিরা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠনকে ফিরিয়ে আনার জন্য নানা গুজব (প্রপাগান্ডা) চালিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পাঁয়তারা করছে। 

    এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের দেওয়া বিভিন্ন পোস্টে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা অনুপ্রাণিত হয়ে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনে ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

  • নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রেস সচিবের

    মুক্তবাণী অনলাইন : আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না—এ প্রশ্নে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। 

    তিনি বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং আইনের আওতা থেকে পলাতক একজন ব্যক্তির নেতৃত্বে থাকা সংগঠনকে বিশ্বের কোন গণতন্ত্রমনা দেশ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ দিতে পারে না; নির্বাচন তো দূরের কথা।

    নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘দলটির প্রধান মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত এবং আইনের আওতা থেকে পলাতক এমন এক ব্যক্তি, যিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী আক্রমণের ডাক দিয়ে যাচ্ছেন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের ভয়ংকর অপরাধীর নেতৃত্বাধীন সংগঠনকে বিশ্বের কোন গণতন্ত্রমনা দেশ কোন ধরনের কর্মকাণ্ড চালাতে দিতে পারে না। নির্বাচন তো অনেক পরের বিষয়।’

  • ভিনদেশীদের স্বার্থ রক্ষাকারীদের নিরাপদ থাকতে দেওয়া যাবে না : মাহফুজ আলম

    নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, আমরা যদি নিরাপদ না থাকি এই দেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদ থাকতে পারবে না। যারা ভারতের এবং ভিনদেশীদের স্বার্থ রক্ষা করবে, তাদের নিরাপদ থাকতে দেওয়া যাবে না। এটা হচ্ছে বেসিক কন্ডিশন।

    আজ সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সংগঠনটির মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

    সমাবেশে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

    মাহফুজ আলম বলেন, আমরা এই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক লড়াইকে, রাজনৈতিক দ্বন্ধকে এই দেশের ভেতরেই মোকাবেলা করব। আমরা হুশিয়ারি করে দিতে চাই, এই দেশের লড়াইকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হলে এই দেশের মুক্তির লড়াইও এই দেশের বাইরে যাবে।

    ওসমান হাদির লড়াই প্রসঙ্গে মাহফুজ বলেন, ওসমান হাদি দেশের ভেতর সক্রিয় ইনভিজিবল ভিনদেশী অ্যাসেটদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। বাংলাদেশের অ্যাসেট আর ভিনদেশী অ্যাসেটরা তাকে মারার যুক্তি উৎপাদন করেছে। তাকে যখন মারা হয়েছে, তখন সবাই নীরব হয়ে বসে রয়েছে। 

    তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের হাতে এই মুজিববাদীদের, এই আওয়ামী লীগ, এই ১৪ দলীয় সন্ত্রাসীদের প্রত্যেকটি বাড়ি চুরমার করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল, সেদিন আমরা নিজেদেরকে সংবরণ করেছিলাম বলে আজকে তারা এ সাহস করতে পারছে। আমরা ক্ষমা করে যদি ভুল করে থাকি, তাহলে আমরা প্রতিজ্ঞা করব আমরা আর ক্ষমা করব না।

    মাহফুজ আলম জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শিক্ষক, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে জুলাইয়ের বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, জুলাইয়ের শক্তি যদি গঠনমূলকভাবে গঠনমূলকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তাহলে আমরা অভ্যন্তরীণ সংকট এবং আমাদের চারপাশের চাপ—দুটোই মোকাবিলা করতে পারব।


    সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের মতো জেলায় জেলায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শুরু করুন। যারা সাংস্কৃতিকভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে, তাদেরকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিহত করুন।

  • গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতায় ব্যাপক প্রচারণা ইসির

    ইসি প্রতিবেদক : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি হবে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট গ্রহণ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একই সঙ্গে বিরতিহীনভাবে চলবে।
     
    গণভোটের ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনতার লক্ষ্যে সারাদেশে ব্যানার ও লিফলেট দিয়ে প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ এ তথ্য জানান।

    গণভোটের প্রচারে ইসির ব্যানার ও লিফলেটে থাকছে—‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?’ (হ্যাঁ/না)।

    (ক) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।

     (খ) আগামী জাতীয় সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।

    (গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিরোধী দল হতে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাসহ তফসিলে বর্ণিত যে ৩০টি বিষয়ে জুলাই জাতীয় সনদে ঐকমত্য হয়েছে— সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য থাকবে।

    (ঘ) জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত অপরাপর সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে। 

    ভোট প্রদানের জন্য ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ যেকোনো একটিতে সিল দিন। 

    গণভোটের ভোটগ্রহণ পদ্ধতি সম্পর্কে ইসির পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ভিন্ন রংয়ের ব্যালটে অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটের ব্যালট (ফরম-১) গোলাপি রঙের হবে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত, নির্ধারিত এবং সরবরাহকৃত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সই গণভোটের ব্যালট বাক্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ভোটারগণ ভোট প্রদান শেষে জাতীয় সংসদের ব্যালট ও গণভোটের ব্যালট একই বাক্সে ফেলবেন।’

    ভোটদান পদ্ধতি : ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে একইসাথে গণভোট হবে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপারের সাথে গণভোটের একটি ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে এবং গণভোটের ব্যালট পেপারে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ তে সিল দিয়ে ব্যালট পেপার ভাঁজ করে নির্ধারিত ব্যালট বাক্সে ফেলবেন। পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে, ভোটার গণভোটের পোস্টাল ব্যালট পেপারে (ফরম-২) হ্যাঁ বা না এর পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে প্রদান করে তাঁর ভোট/মত প্রকাশ করবেন।’

  • বিজয় দিবসে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে বাংলাদেশ : নাহিদ

    মুক্তবাণী ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আগামীকাল বিজয় দিবসে আমরা প্রতিরোধের র‌্যালি করব। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হব।

    তিনি বলেন, আমরা উৎসব করতে রাস্তায় নামব না। আমরা প্রতিরোধের যাত্রায় রাস্তায় নামব।

    আজ সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সংগঠনটির মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

    সমাবেশে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।  

    নাহিদ ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা যেমন বিজয় অর্জন করেছি, তেমনি সেদিন থেকেই আমাদের প্রতিরোধের যাত্রাও শুরু হয়েছিল। সেই প্রতিরোধ ছিল ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে সেই প্রতিরোধের পথচলা শুরু হয়েছে, যা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।

    তিনি বলেন, ভারত যদি মনে করে ৫ আগস্টের পরেও তারা আগের মতো দেশের রাজনীতির ওপর হস্তক্ষেপ করবে, নির্বাচনে কারচুপি করবে, সেই ভাবনাটা ভুল। সেই ভাবনা আমরা ভুল প্রমাণ করব। ভারতকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্মান ও মর্যাদার ভিত্তিতে সম্পর্ক রাখতে হবে।

    ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, আজ আমরা এখানে একটি বার্তা দেওয়ার জন্য সমবেত হয়েছি। সেটা হলো, বাংলাদেশ ও জুলাই বিপ্লবীরা ঐক্যবদ্ধ। ওসমান হাদির শরীরে গুলি লাগার মাধ্যমে জুলাই বিপ্লব আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ যতবার আক্রান্ত হয়, তরুণরা ততবার নেমে আসে।

    তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে গত ১৬ বছরে আমরা কী দেখেছি? এই সময়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে সব বিরোধী দল ও মত দমন করার কাজে। সেই অভিজ্ঞ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তখন গুম-খুনসহ সবকিছু অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করতে পেরেছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর হঠাৎ করে সেই দক্ষতা কোথায় যেন উধাও হয়ে গেছে।

    তিনি আরও বলেন, এখন তারা কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না, সীমান্ত পার হতে বাধা দিতে পারে না, ৭২ ঘণ্টা পার হলেও একজন অপরাধীকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় না। ফলে প্রশ্ন শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ঘিরে নয়। এই খেলা কোথা থেকে চলছে— সেই ডিপ স্টেট নিয়ে, সেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিয়ে আপনাদেরকে কথা বলতে হবে।

    নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চাই। আমরা চাই—বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হোক, গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত থাকুক। কিন্তু যারা জুলাই বিপ্লবকে টার্গেট করছে, যারা মিডিয়ায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে, আদালত অঙ্গনে মুজিববাদী রাজনীতি পুনরায় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে—তাদের বিরুদ্ধে আমাদের গণপ্রতিরোধ চলবে।