মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১ পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

হাসিনা-কামালের ফাঁসির রায়ের কপি যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে

মুক্তবাণী ডেস্ক: চব্বিশের জুলাই গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের রায়ের কপি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। একইসঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও রায়ের কপি পাবেন।

ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার এ কপি পাঠানো হবে। এর আগে, সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন। একইসঙ্গে রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন। অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

প্রসিকিউশন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ জমা দেয়। তবে রায়ে দুটি অভিযোগে ছয়টি ঘটনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

প্রথম অভিযোগে তিনটি ঘটনা:

  • ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান।
  • ওই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাকসুদ কামালের সঙ্গে কথোপকথনে আন্দোলনকারীদের রাজাকার আখ্যা দিয়ে ফাঁসি দেওয়ার উসকানি ও আদেশ।
  • এরই ধারাবাহিকতায় রংপুরে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ।

এসব অপরাধে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।

দ্বিতীয় অভিযোগে তিনটি ঘটনা:

  • ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ফোনালাপ। এতে ড্রোনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয় এবং হেলিকপ্টার ও মারণাস্ত্র ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
  • এর ফলশ্রুতিতে ৫ আগস্ট চানখারপুলে ছয়জন আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ।
  • একই দিনে সাভারের আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এসব অপরাধে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জুলাইয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

উভয় অভিযোগে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।