বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৪ কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৭ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

১৩টি অস্ত্র ও টাকা গণনার যন্ত্রসহ চট্টগ্রামে বুইস্যা’র তিন সহযোগী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরে অভিযান চালিয়ে তিন ‘সন্ত্রাসী’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ১৯ মামলার আসামি শহিদুল ইসলাম ওরফে বুইস্যার সহযোগী। তাঁদের কাছ থেকে ১৩টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গুলি, মাদক, নগদ টাকা ও টাকা গণনার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, চাঁদাবাজি ও মাদক বিক্রির টাকা দ্রুত গোনার জন্য ওই যন্ত্র ব্যবহার করা হতো।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মো. বেলাল, হৃদয় বড়ুয়া ও মো. আজাদ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চান্দগাঁও, বাকলিয়া ও পাঁচলাইশ এলাকায় একযোগে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের সোয়াট দল ও থানা-পুলিশ।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির জানান, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৩টি দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩টি ম্যাগাজিন, ৫৮টি বুলেট, সাড়ে তিন হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট, কিছু পরিমাণ গাঁজা, সাতটি সিসি ক্যামেরা, একটি ড্রোন, নগদ চার লাখ ২০ হাজার টাকা এবং টাকা গণনার একটি মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, সন্ত্রাসী বুইস্যা ও তাঁর সহযোগীরা চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও গুলি ছোড়ার মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। বুইস্যা শুলকবহর এলাকার একটি স’মিলের পাশে অবস্থিত একটি ভবনের কক্ষকে তাঁদের আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করতেন, যেখানে টাকা গণনার যন্ত্র রাখা ছিল। সাধারণত ব্যাংকে ব্যবহৃত এই মেশিনটি দিয়ে চাঁদাবাজি ও মাদক বিক্রির অর্থ গণনা করা হতো, বলে জানান তিনি।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ জুলাই বুইস্যার ১১ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকেও দেশি অস্ত্র, গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছিল, যার মধ্যে থানা থেকে লুট হওয়া গুলিও ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও গুলি লুটের একাধিক ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, বুইস্যা ও তাঁর সহযোগীরা শুলকবহর এলাকায় যে বাসাটিকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করতেন, সেটিই ছিল তাঁদের ‘টর্চার সেল’। চাঁদা না দিলে সেখানে ভুক্তভোগীদের ধরে এনে নির্যাতন করা হতো, বলে জানায় পুলিশ।