রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

কাশ্মীরে হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ২৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ২৬ হয়েছে বলে বিবিসি নিশ্চিত করতে পেরেছে।

একই খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সও।

তবে বিবিসির স্থানীয় সংবাদদাতা মজিদ জাহাঙ্গীর এবং ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই জানাচ্ছে যে জম্মু-কাশ্মীরের সরকার এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা জানিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয় নি।

জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র পহেলগামের একটি পর্যটক রিসোর্টে ওই হামলা চলে।

কাশ্মীরে এখন ভরা পর্যটক মরসুম চলছে।

ওই পর্যটকদের মধ্যেই ছিলেন গুজরাতের এক বাসিন্দা। তিনি জানাচ্ছেন যে হঠাৎ করে হামলা চালানো হয়। সবাই দৌড়োদৌড়ি শুরু করেন। চারদিকে কান্না আর চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে পর্যটকদেরই তোলা কিছু ভিডিও দেখানো হচ্ছে, তা অত্যন্ত বিচলিত করার মতো।

ওইসব ভিডিওতেই দেখা গেছে যে হামলার জায়গায় ভারতীয় সেনা সদস্যরা দৌড়িয়ে যাচ্ছে। আবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সম্প্রচারিত আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে বন্দুকধারীরা অমুসলিমদের আলাদা করে চিহ্নিত করছিল।

হামলার পরেই সেখানে সেনাবাহিনী অপারেশন শুরু করেছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শ্রীনগর রওয়ানা হয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।

পর্যটকদের সহায়তা করার জন্য একটি বিশেষ হেল্পলাইন খুলেছে প্রশাসন।

অন্যদিকে ভারতের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা এই হামলার কড়া নিন্দা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বার্তায় লিখেছেন, “এই জঘন্য ঘটনার পিছনে যারা রয়েছে, তাদের কঠিন শাস্তি হবে। তাদের ছাড়া হবে না।“

জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “আমি স্তব্ধ। নিহতদের সংখ্যা এখনও চূড়ান্ত হয় নি, তাই আমি সেই বিস্তারিত তথ্যে যাব না। পরিস্থিতি স্পষ্ট হলে সরকারিভাবে সংখ্যা জানানো হবে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপরে সাম্প্রতিক সময়ে সবথেকে বড় এই হামলা।“

বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী লিখেছেন, “জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলায় পর্যটকদের মৃত্যু এবং আরও অনেকের আহত হওয়ার খবর অত্যন্ত নিন্দনীয় ও হৃদয়বিদারক।“