আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
‘হিন্দুস্তানে হিন্দুকে খুন করবে? গাজা শেষ হয়েছে, ইসরাইল শেষ করেছে, আমরাও শেষ করব। মোদির শিষ্য আছি। মোদির বাচ্চা আমরা। নাম নিশান উল্টাবো। পলিটিকস ছেড়ে দেন, হিন্দু বলে মেরেছে।’ ঠিক এভাবেই কথাগুলো বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গত মঙ্গলবার ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মির অঞ্চলের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। এতে ২৬ জন পর্যটক নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দুই পর্যটকও ছিলেন। যাদের বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয়। তাদের মৃতদেহ গ্রহণের সময় সেখানে উপস্থিত হন বিজেপি’র (ভারতীয় জনতা পার্টি) এই নেতা। তার সঙ্গে একদল মানুষ ছিলেন। যারা তার সঙ্গে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছেন।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, হিন্দুস্তানে হিন্দুকে খুন করবে? গাজা শেষ হয়েছে, ইসরাইল শেষ করেছে, আমরাও শেষ করব। তার এমন বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে।
দ্য ফ্রি প্রেস জার্নালের এক খবরে বলা হয়েছে, কলকাতায় নিয়ে আসা ওই দুই ব্যক্তির নাম বিতান অধিকারি এবং সামির গুহ। স্বামীর মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বিতানের স্ত্রী সোহিনী অধিকারী। কোলে সন্তান নিয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। তার অভিজ্ঞতা শুনে উপস্থিত অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সোহিনী জানিয়েছেন, তার ছেলের বয়স আড়াই বছর। বাবার মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রত্যক্ষ সাক্ষী হওয়ায় তার ছেলে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
কান্নারত অবস্থায় বিতানের স্ত্রী বলেন, ছেলের চোখের সামনেই ওর বাবাকে মেরেছে। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। মৃতদেহের কফিন দেখিয়ে তিনি বারবার জোর দিয়ে বলতে থাকেন, হিন্দু বলে মেরেছে ওদের, হিন্দু বলে মেরেছে।
মঙ্গলবার দুপুরের পরপরই পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। তারা পরিচয় জিজ্ঞেস করে করে নৃশংস হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। জানা গেছে বিতান অধিকারী কর্মসূত্রে ফ্লোরিডায় থাকতেন। ছুটিতে দেশে ফিরে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তাদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আর ফিরলেন কফিনে।