নিজস্ব প্রতিবেদক : ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অটোপাশ করা প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষার দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে সকাল থেকে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
চাকরি প্রত্যাশীরা বলছেন, ২০১৯ সালের সার্কুলার হলেও প্রিলি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালের ১৬ জুন। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে ২০২৪ সালের ২৮ মার্চ। প্রিলি পরীক্ষা না দিয়েও ইসির ৭৪১ জনকে উত্তীর্ণ করা হয়।
এছাড়া নতুন করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় ৫৫ জন (৯ এপ্রিল ২০২৫)। এদিকে ২০১৯ সালের প্রিলি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ লিখিত পরীক্ষা ২ বার স্থগিত করা হয়।
এ বিক্ষোভ সমাবেশে নিজের ১২ মাস বয়সী শিশুকে সঙ্গে করে সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছেন কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রিলি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু অজানা কারণে আমাদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। অথচ আমাদের বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই নিজে ছোট্ট শিশুকে নিয়েই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়া।’
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আরেকজন চাকরিপ্রত্যাশী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষা ঝুলিয়ে না রেখে একটা সিদ্ধান্তের দাবিতে তাদের আজকের এই কর্মসূচি।’
চুয়াডাঙ্গা থেকে আগত সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা চুয়াডাঙা থেকে ২০ জন এসেছি। আমাদের ২০১৯ সালের পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন না করে নতুন নিয়োগের কথা ভাবছে কমিশন। তাই আমরা এই বিক্ষোভ করছি। আমরা এর আগে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছি। কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’
এদিকে, শূন্য পদের বিপরীতে পরীক্ষার বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব জানান, যে সকল পদ ফাঁকা রয়েছে সেগুলো পূরণের কার্যক্রম চলছে। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে স্থগিত পরীক্ষা বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।