টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
টঙ্গীতে শ্রমিকদের দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে চেরাগ আলীতে যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেডের ছাঁটাইকৃত ও নিয়মিত শ্রমিকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরিস্থিতি বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেডে প্রায় ১৮ শত শ্রমিক কাজ করেন।
গত ২২ এপ্রিল কর্তৃপক্ষ ১১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেন। এরপর থেকে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে নিয়মিত শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করে আসছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকেরা স্বপ্রণোদিতভাবে কাজে আসলে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকেরা এতে বাধা দেন। এতে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ পরিস্থিতিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আহতদের মধ্যে আটজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- রুহুল আমিন (৫০), ফাহিমা (৩০), বাদল হোসেন (৪৫), আশরাফুল আলম (২৫), অজয় কর (৪৮), রুমা (২৬), শাহাদাত (৪০) ও বিথী রাণী সাহা (৪০)। তারা টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সংঘর্ষে আহতরা বিচারের দাবিতে টঙ্গী পূর্ব থানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষকালে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। এ সময় পুলিশ হৃদয় নামের এক শ্রমিককে আটক করলেও পরবর্তীতে ছেড়ে দেয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) ইসনাইল হোসেন জানান , শ্রমিকরা কারখানার সামনে বিক্ষোভ করলে দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত বিধায় কর্তৃপক্ষ কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেছেন।পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।