টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ ও জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি পদে আসীন থাকাকালীন সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হয়েছিলেন আহসানউল্লাহ মাস্টার। এ ঘটনার পরদিন তার ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় ষড়যন্ত্রমূলক ও অন্যায়ভাবে আমার ছোট ভাই কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক শিল্প বিষয়ক সম্পাদক কারারুদ্ধ নুরুল ইসলাম সরকারকে ফাঁসানো হয়।
বুধবার দুপুরে বড় দেওড়া আহসান উল্লাহ সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে টঙ্গী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়ােজিত ‘আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকান্ডে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সরকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসান সরকার বলেন, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ডের প্রতিহিংসার শিকার নুরুল ইসলাম সরকার। তিনি প্রায় ২০ বছর যাবৎ কারাবরণ করছেন। তিনি এখন অসুস্থ। আমি তার সুস্থতা ও মুক্তি কামনা করছি।
টঙ্গী প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব মো. মেরাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচকের বক্তব্য দেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক প্রভাষক বসির উদ্দিন, বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম খান কালা, আইয়ুব আলী, সরকার শাহনূর ইসলাম রনি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ উদ্দিন, নাসির উদ্দিন বুলবুল, শামসুল হক ভূইয়া, মাহবুব চৌধুরী, শেখ আজিজুল হক, মহিউদ্দিন রিপন, মো.সবুর খান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিগত স্বৈরশাসক অবৈধভাবে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির আবেদন শুনানী করতে দেয়নি। বছরের পর বছর শুনানী স্থগিত রেখে তাকে কারাগারে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে।
নূরুল ইসলাম সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আওয়ামী লীগ গাজীপুরে বিএনপিকে কোনঠাসা করার জন্য পরিকল্পিতভাবে নূরুল ইসলাম সরকারকে আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যামামলায় জড়িয়েছে। এসময় নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নূরুল ইসলাম সরকারের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে স্থানীয় সাংসদ ও শ্রমিক লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় যুবদলের কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম সরকারকে হুকুমের আসামী করে মামলা করা হয়। বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।