সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে এনসিপির যুবসংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’

মুক্তবাণী অনলাইন:

‘‘জাতীয় যুবশক্তি’’ নামে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুবসংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। আগামী শুক্রবার নতুন এই দলের যুবসংগঠনের আত্মপ্রকাশ হবে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানী ঢাকার বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে এনসিপির যুব উইংয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় যুবশক্তির আত্মপ্রকাশ সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে নতুন এ সংগঠনের বিষয়ে জানানো হয়।

এ সময় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “বাংলাদেশের সামনে যে সুযোগ এসেছে, তা প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রে ১০০ থেকে ২০০ বছর পরে আসতে পারে। এখন বাংলাদেশে তরুণ প্রায় ৪০% ওপর। দেশের চাকা যদি ঘোরাতে হয়, তবে এই তরুণদের ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এই শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য সংগঠিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, ‘‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি বড় একটি জায়গায় নেতৃত্ব দিয়েছিল। তেমনি দেশকে নতুনভাবে পুনর্গঠিত করতে আমাদের এনসিপির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, ছাত্রশক্তি যেভাবে অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হটিয়ে দেশকে একটি নতুন পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, এখন এই দেশকে পুনর্গঠন করার ক্ষেত্রে জাতীয় যুবশক্তি একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। দেশকে নতুন একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে পুরো বাংলাদেশের তরুণদের একটি ফোর্স প্রয়োজন। আশা করি, জাতীয় যুবশক্তি দেশকে সে জায়গায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবে।’’

তরুণদের মধ্যে ফ্রাস্ট্রেশন রয়েছে উল্লেখ করে এনসিপির এই মুখ্য নেতা আরও বলেন, ‘‘আমাদের অর্থনৈতিক বা ক্রেডিটের ক্ষেত্রে তরুণদের অ্যাকসেস নেই। আমাদের নীতিনির্ধারণী ফোরামেও তরুণদের কোনো অ্যাকসেস নেই। আমাদের যে বড় তরুণ জনগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আছেন, তাদের নিয়ে জাতীয় যুবশক্তি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে কাজ করে যাবে।’’

আগামী শুক্রবার (১৬ মে) দুপুর ৩টায় গুলিস্তানে শহিদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউয়ে বড় কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হবে বলে জানান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

যুবশক্তির কমিটি প্রসঙ্গে এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, “সেখানে নারীদের অংশগ্রহণ থাকবে, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও হিন্দু ভাইদের অংশগ্রহণ থাকবে। যারা বেসরকারি খাতে রয়েছেন, বেসরকারি ও পাবলিক দুই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই বড় অংশগ্রহণ থাকবে। এনসিপির যত অঙ্গসংগঠন বা সহযোগী সংগঠন হবে, সবচেয়ে বেশি রিপ্রেজেন্টেশন (প্রতিনিধিত্ব) যুবসংগঠনে থাকবে। এ সংগঠনের মূল ফোকাসের (মনোযোগ) একটা জায়গা হবে বেসরকারি খাত ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘‘আমরা লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি চাই না, কোনো লাঠিয়াল বাহিনী চাই না। এনসিপির সরাসরি অঙ্গসংগঠন হিসেবে জাতীয় যুবশক্তি ও জাতীয় শ্রমিক শক্তি কাজ করবে।’’

এসএসএইচ.