রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

ড. ইউনূসের লন্ডন সফর : গুরুত্ব পাবে রাজনৈতিক সমর্থন আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নয়টি দেশ সফর করেছেন, যার মধ্যে কোনো পূর্ণাঙ্গ দ্বিপক্ষীয় সফর নেই। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী জুলাইয়ে ‘সরকারি সফরে’ মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা সরকারপ্রধানের। তবে তার আগে যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন অধ্যাপক ইউনূস। যুক্তরাজ্য সরকার এই সফরটিকে ‘সরকারি সফর’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেই হিসেবে সরকারপ্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর লন্ডনে হচ্ছে।

চার দিনের সফরে আগামী ৯ জুন লন্ডন সফরে যাচ্ছেন অধ্যাপক ইউনূস। রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ে সফরটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ধারণা করা হচ্ছে, বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে অবস্থানের প্রেক্ষাপটে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার প্রসঙ্গ আলোচনায় তুলবে ঢাকা। অন্যদিকে, বিগত সরকারের সময়ে বাংলাদেশকে চারটি উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল ব্রিটেন, সেটি ঢাকাকে মনে করিয়ে দিতে পারে দেশটি।

সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লন্ডন সফরকালে ড. ইউনূস যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ১২ জুন বাকিংহাম প্রাসাদে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন ড. ইউনূস। ওইদিন বিকেলে সেন্ট জেমস প্রাসাদে রাজা তৃতীয় চার্লসের হাত থেকে কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করার কথা সরকারপ্রধানের। আগামী ১১ জুন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা। এছাড়া, তিনি যুক্তরাজ্যের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউজ আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকা-লন্ডনের কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ইউনূস-স্টারমারের বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা, বিনিয়োগ ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানো, রোহিঙ্গা সংকটের মতো বিষয়গুলো আলোচনায় আসতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক সমর্থনের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার, নির্বাচন, জুলাই-আগস্টের নৃশংসতার বিচারসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে যুক্তরাজ্য সরকারকে পাশে চাইবে ঢাকা।