রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করলো পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০২৬ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব করেছে পাকিস্তান সরকার। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা প্রশমনে ট্রাম্পের ‘গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ভূমিকা’কে স্বীকৃতি জানিয়ে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সরকারি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যকার সংকট নিরসনে ট্রাম্পের ‘দূরদর্শী কূটনৈতিক তৎপরতা ও নেতৃত্ব’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এতে করে সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়েছে এবং অসংখ্য প্রাণ রক্ষার পথ উন্মুক্ত হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংকটকালে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির সঙ্গে সরাসরি সংলাপে যুক্ত হয়ে ট্রাম্প যে কৌশলগত প্রজ্ঞা ও রাষ্ট্রনায়কসুলভ বিচক্ষণতা দেখিয়েছেন, তা বিরল। তাঁর মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি হয়, যার ফলে ভয়াবহ সংঘাত থেকে পরিত্রাণ মেলে।

পাকিস্তান এ সাম্প্রতিক উত্তেজনাকে ‘২০২৫ ভারত-পাকিস্তান সংকট’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। ইসলামাবাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ভারতের ‘উসকানিমূলক ও বেআইনি আগ্রাসন’ পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে এবং এতে ব্যাপক বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তার জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামক সামরিক প্রতিরোধ অভিযান চালায়, যাকে তারা ‘পরিমিত ও নিখুঁত সামরিক পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যাতে বেসামরিক প্রাণহানি সীমিত রাখা হয়।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের গোপন কূটনৈতিক উদ্যোগ সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই হস্তক্ষেপ প্রমাণ করে, ট্রাম্প একজন প্রকৃত শান্তির দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি রয়েছে।’

কাশ্মীর ইস্যুতে ট্রাম্পের আগের ও সাম্প্রতিক মধ্যস্থতা প্রস্তাবেরও প্রশংসা করেছে ইসলামাবাদ। সরকারের ভাষ্য, তাঁর এই প্রচেষ্টা দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার আন্তরিক ইচ্ছার প্রতিফলন। এ ছাড়া বিবৃতিতে পুনরায় উল্লেখ করা হয়, জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যা সমাধান না হলে এই অঞ্চলে প্রকৃত শান্তি সম্ভব নয়।

এমন প্রেক্ষাপটে বিবৃতিটি প্রকাশিত হলো যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দাবি করেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামানোর জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। তবে তাঁর অভিযোগ, নোবেল পুরস্কার কেবল ‘লিবারেলদের’ দেওয়া হয়, তাঁকে দেওয়া হবে না।

ট্রাম্প বলেন, ‘পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ থামানোর জন্য আমার নোবেল পাওয়া উচিত ছিল। রুয়ান্ডা, কঙ্গো, সার্বিয়া, কসোভো—অনেক উদাহরণ আছে। সবচেয়ে বড় উদাহরণ ভারত-পাকিস্তান। অন্তত চার-পাঁচবার আমার নোবেল পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ওরা লিবারেলদেরই দেয়, আমাকে কখনো দেবে না।’