জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞে নিজের এবং প্রধান ও সহযোগী অভিযুক্তদের অপরাধ-সংক্রান্ত সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করার শর্তে সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
আজ শনিবার (১২ জুলাই) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল দুই পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ প্রকাশ করে।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, রাজসাক্ষী হওয়ার কারণে সাবেক আইজিপি মামুনকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তার আইনজীবী।
তবে ট্রাইব্যুনাল মনে করে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন যদি নিজে জড়িত অপরাধ এবং প্রধান ও সহযোগী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তার জানা সমস্ত তথ্য ও সত্য নির্দ্বিধায় প্রকাশ করেন, তখনই কেবল তাকে ক্ষমা করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ওই হত্যাযজ্ঞের দায় স্বীকার করে ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী হন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। সেদিন তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে চান।
এরপরই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিচারের আদেশ দেন। রাজসাক্ষী হিসেবে মামুনকে বর্তমানে কারাগারে আলাদা সেলে রাখা হয়েছে।