আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যকার সীমান্ত সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩২ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। এ অবস্থায় কাম্বোডিয়া অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত কাম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ছেয়া কেও বলেন, ‘আমরা বিনাশর্তে একটি যুদ্ধবিরতি চাই। পাশাপাশি এই বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান কামনা করছি।’
থাইল্যান্ড এখনো এই প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে তারা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান করেছে। এর আগে দেশটি কাম্বোডিয়ার সীমান্তঘেঁষা আটটি জেলায় সামরিক আইন জারি করে। সংঘর্ষে প্রায় ২ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কাম্বোডিয়ার বাহিনী দক্ষিণ উপকূলবর্তী নতুন এলাকায় হামলা চালিয়েছে, তবে থাই নৌবাহিনী তাদের প্রতিহত করেছে।
এর আগে থাইল্যান্ডের সুরিন, উবন রাতচাথানি ও শ্রীসাকেত প্রদেশে সংঘর্ষ হয়েছে। ব্যাংকক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১৯ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে ১৩ জন বেসামরিক ও ৬ জন সৈনিক।
থাই প্রশাসন জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, কাম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের দেশে এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন বেসামরিক ও ৫ জন সৈনিক। প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই শুক্রবার সতর্ক করে বলেন, এই সংঘর্ষ পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। সংঘর্ষে এখন ভারী অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এটি সীমান্তের ১২টি স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে।
থাই কর্তৃপক্ষ কাম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণের অভিযোগ করেছে এবং রকেট হামলার আওতায় পড়তে পারে এমন সব গ্রাম খালি করে ফেলেছে।
অন্যদিকে, কাম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ করেছে। উল্লেখ্য, ক্লাস্টার বোমা বিশ্বব্যাপী মানবিক কারণে নিষিদ্ধ। থাইল্যান্ড এখনো এ অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধের জেরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়।