রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১২ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১ সফর, ১৪৪৭ হিজরি

চলে গেলেন মাইলস্টোনের আয়া মাসুমাও, মৃত্যু বেড়ে ৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ মাসুমা (৩৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই স্কুলের আয়ার কাজ করতেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫ জনে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাসুমার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ক্রিটিকাল অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এ নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ১৭ জনের মৃত্যু হলো। এখনো ভর্তি আছেন ৩৮ জন। যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আইসিইউতে আছেন।

মৃত মাসুমার স্বামী মো. সেলিম জানান, মাইলস্টোন স্কুলের আয়ার কাজ করতেন তার স্ত্রী। তিনি নিজে একটি বায়িং হাউজে চাকরি করেন। তাদের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। তার বাবার নাম আবুল কাশেম। এক ছেলে এক মেয়েকে নিযে পরিবার নিয়ে তুরাগ নয়ানগর শুক্রভাঙ্গা এলাকায় থাকতেন তারা।

এর আগে, আজ সকাল ৯টার দিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষার্থী জারিফ ফারহানের (১৩) মৃত্যু হয়। তার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ক্রিটিকাল অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ছিল সে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে শিশু আইমানের (১০) মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এরপর দুপুর ১টার পর মুসাব্বির মাকিন (১৩) নামের আরেক শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতাল। তার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

গত সোমবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজেআই যুদ্ধ বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মাথায় ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়