নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এ নতুন উপ-ধারা যুক্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে থাকা সব মামলা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ওই আইনে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা দায়মুক্তি পাচ্ছেন। তদন্তাধীন মামলাগুলোও বাতিল বলে গণ্য হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর ৫০ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় মোট ১১টি অধ্যাদেশ এবং তিনটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
সংশোধিত ৫০ ধারার পর যুক্ত হওয়া উপ-ধারা (৪ক)-এ বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংঘটনে সহায়তার অভিযোগে আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা তদন্ত সংস্থার কাছে যেসব মামলা বা কার্যক্রম নিষ্পন্ন বা তদন্তাধীন রয়েছে, তা বাতিল বলে গণ্য হবে। এসব মামলার বিষয়ে আর কোনো আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট ধারার অধীনে আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ড ও জরিমানাও বাতিল বলে বিবেচিত হবে।
২০১৮ সালে ভার্চুয়াল অপরাধ দমনে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি শুরু থেকেই ‘নিবর্তনমূলক’ বলে সমালোচিত হয়ে আসছিল। ২০২৩ সালে আইনটি আংশিক সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেটিকে আরও সংস্কার করে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ নামে নতুন কাঠামোতে রূপ দেয়।
বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সাংবাদিকদের জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল করা হয়েছে। ফলে ওই আইনে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা দায়মুক্তি পাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।