এইচ এম প্রফুল্ল, খাগড়াছড়ি : প্রলোভনে পড়ে সদস্য বাড়াতে গিয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা নিজেরাই অস্ত্রের মুখে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে আসলেন। ঘটনাটি ঘটেছে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কোরাদিয়া এলাকায়। আর এমন ঘটনার শিকার পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য সচিব ইব্রাহিম খলিলসহ তিন নেতা । অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে তাদের শেখ মজিবের ছবিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করতে বাধ্য করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গণঅধিকার পরিষদের ২৫ নেতাকর্মী আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদ নেতাদের নিয়ে সংগঠিত ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানায় গণঅধিকার পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য সচিব মো: ইব্রাহিম খলিলের দায়ের করা ডায়েরীর সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কোরাদিয়া গ্রামে কিছু লোক গণঅধিকার পরিষদে যোগদান করার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে গত ৭ নভেম্বর বিকালে তিনি গণঅধিকার পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক মংসানু মারমা ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তপন বিকাশ ত্রিপুরকে নিয়ে ওই এলাকায় যান।
গণঅধিকার পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য সচিব মো: ইব্রাহিম খলিল জানান, সরল বিশ্বাসে ওই এলাকায় পৌছার পর অজ্ঞাতনামা ২ জন পাহাড়ি ব্যক্তিদের সাথে দেখা হয়। সেখান থেকে মোটরসাইকেল যোগে ৭/৮ কিলোমিটার দূরে একটি টিনশেড ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখেন আরো অজ্ঞাতনামা ৮ জন পাহাড়ি যুবক বসে আছে।
অজ্ঞাতানামা পাহাড়ি যুবকরা তাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তারা গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিবে তবে শেষ বারের মত শেখ মুজিবের পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে বিদায় জানাবে। সে ক্ষেত্রে গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের শেখ মুজিবের পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে হবে। এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা রাজি না হলে তাদের অস্ত্রের মুখে ছবি তুলতে বাধ্য করা হয়। পরে সে ছবি গণঅধিকার পরিষেদের ২৫ নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়।