মুক্তবাণী ডেস্ক : মার্কিন কংগ্রেস বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতা বাশার আল-আসাদের আমলে দেশটির ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করেছে। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত হয়েছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বাধীন সরকারের মিত্র সৌদি আরব ও তুরস্কের আবেদনের প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই দু’বার নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন স্থগিত করেছিলেন। কিন্তু শারা নিষেধাজ্ঞার স্থায়ী অবসান চেয়েছিলেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট একটি বিশাল বার্ষিক প্রতিরক্ষা প্যাকেজের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের সিজার আইন বাতিলের অনুমোদন দিয়েছে। সিনেট আইনটির পক্ষে ৭৭-২০ ভোট দিয়েছে। যা ইতোমধ্যেই প্রতিনিধি পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে এবং ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সিনেটর জিন শাহীন বলেন, উভয় দলের আইনপ্রণেতাদের সমর্থনে এটি বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি কয়েক দশকের অকল্পনীয় দুর্ভোগের পর সিরিয়ার জনগণকে পুনর্গঠনের একটি বাস্তব সুযোগ দেয়ার একটি নির্ণায়ক পদক্ষেপ।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘সিরিয়ার জনগণের প্রতি সমর্থন ও সিজার আইন বাতিলের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য আমরা মার্কিন সিনেটের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
সিজার আইন সিরিয়া পুনর্গঠনে বিদেশী ব্যবসার আগমন রোধ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। এটি সিরিয়ায় বিনিয়োগ কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করে এবং দেশটিকে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এই আইনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে সিরিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের জন্য বাশার আল আসাদসহ সাবেক সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।