রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

হবিগঞ্জ জেলার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫

ধর্ম ডেস্ক

৫ মার্চ ২০২৫, ১৪:১৫

দেশের প্রত্যেক জেলার মতো হবিগঞ্জ জেলার মুসলমানরাও গুরুত্বের সঙ্গে পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালন করেন। পুরো এক মাস রোজা পালনের মাধ্যমে তারা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করেন। 

ঠিকমতো রোজা পালনের জন্য অন্যান্য জেলার মতো হবিগঞ্জ জেলার মানুষেরাও সঠিক সময়ে সাহরি ও ইফতার করেন। এই মাসে সঠিক সময়ে সাহরি ও ইফতার গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ধর্মীয় বিধান মেনে রোজা পালনের জন্য সহায়ক। 

সময় মতো ইফতার ও সাহরি খাওয়ার বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যতদিন মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে ততদিন দ্বীন ইসলাম বিজয়ী থাকবে। কেননা, ইহুদি ও নাসারাদের অভ্যাস হলো ইফতার দেরিতে করা। (আবু দাউদ)

হবিগঞ্জ জেলার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫

রমজানতারিখসেহরিইফতার
২ মার্চ ২০২৫০৪:৫৬০৬:০১
৩ মার্চ ২০২৫০৪:৫৫০৬:০১
৪ মার্চ ২০২৫০৪:৫৫০৬:০২
৫ মার্চ ২০২৫০৪:৫৪০৬:০২
৬ মার্চ ২০২৫০৪:৫৩০৬:০৩
৭ মার্চ ২০২৫০৪:৫২০৬:০৩
৮ মার্চ ২০২৫০৪:৫১০৬:০৪
৯ মার্চ ২০২৫০৪:৫০০৬:০৪
১০ মার্চ ২০২৫০৪:৪৯০৬:০৫
১০১১ মার্চ ২০২৫০৪:৪৮০৬:০৫
১১১২ মার্চ ২০২৫০৪:৪৭০৬:০৬
১২১৩ মার্চ ২০২৫০৪:৪৬০৬:০৬
১৩১৪ মার্চ ২০২৫০৪:৪৫০৬:০৬
১৪১৫ মার্চ ২০২৫০৪:৪৪০৬:০৭
১৫১৬ মার্চ ২০২৫০৪:৪৩০৬:০৭
১৬১৭ মার্চ ২০২৫০৪:৪২০৬:০৭
১৭১৮ মার্চ ২০২৫০৪:৪১০৬:০৮
১৮১৯ মার্চ ২০২৫০৪:৪০০৬:০৮
১৯২০ মার্চ ২০২৫০৪:৩৯০৬:০৯
২০২১ মার্চ ২০২৫০৪:৩৮০৬:০৯
২১২২ মার্চ ২০২৫০৪:৩৭০৬:১০
২২২৩ মার্চ ২০২৫০৪:৩৫০৬:১০
২৩২৪ মার্চ ২০২৫০৪:৩৪০৬:১০
২৪২৫ মার্চ ২০২৫০৪:৩৩০৬:১১
২৫২৬ মার্চ ২০২৫০৪:৩২০৬:১১
২৬২৭ মার্চ ২০২৫০৪:৩১০৬:১২
২৭২৮ মার্চ ২০২৫০৪:২৯০৬:১২
২৮২৯ মার্চ ২০২৫০৪:২৮০৬:১৩
২৯৩০ মার্চ ২০২৫০৪:২৭০৬:১৩
৩০৩১ মার্চ ২০২৫০৪:২৫০৬:১৪

সূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • হুথির হুঁশিয়ারি : যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে হামলা ‘যুদ্ধের সূচনা’

    অনলাইন ডেস্ক : ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইয়েমেনের ইরানপন্থি হুথি সশস্ত্র গোষ্ঠী। তাদের দাবি—এই হামলা যুদ্ধের পরিণতির সূচনা এবং এটি কোনো বিচ্ছিন্ন সামরিক পদক্ষেপ নয়।

    আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার পর হুথির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ আল-ফারাহ বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প চান যুদ্ধ দ্রুত শুরু হোক এবং দ্রুত শেষ হোক—এই মনোভাব স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘একটি-দুটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা বর্ষণ কোনো সমাপ্তি নয়, বরং এটি যুদ্ধের সূচনা। এখন আর পালিয়ে যাওয়ার সময় নয়।’

    হুথির এই প্রতিক্রিয়া এমন এক সময় এসেছে, যখন এর কিছু ঘণ্টা আগেই গোষ্ঠীটি হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে, ট্রাম্প যদি ইসরাইলের সঙ্গে একত্র হয়ে ইরানে হামলা চালান, তবে লোহিত সাগরে অবস্থানরত মার্কিন জাহাজগুলো হুথি গোষ্ঠীর টার্গেটে পরিণত হবে।

    এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায়—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে সফলভাবে হামলা চালিয়েছি। এখন আমাদের সব বিমান ইরানের আকাশসীমার বাইরে নিরাপদে ফিরে এসেছে।

    ট্রাম্প আরও একটি ওপেন-সোর্স গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে দাবি করা হয়—ইরানের সবচেয়ে সুরক্ষিত এবং গোপন পারমাণবিক স্থাপনা ‘ফোরদো’ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

  • পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, যা জানাল ইরান

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরান। দেশটি জানিয়েছে, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলায় কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থা কোমের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলছে, ফোরদোর কিছু অংশ বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    কোম প্রভিন্সিয়াল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট হোডকোয়ার্টারের মুখপাত্র মোর্তেজা হায়দারি বলেন, কয়েক ঘণ্টা আগে, কোমের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার এবং শত্রু লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করার পর, ফোরদোর কিছু অংশ শত্রু বিমান হামলায় আক্রান্ত হয়েছিল।

    এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে যেই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথা বলছে, আদতে সেখানে এমন কোনো পদার্থ নেই যা তেজস্ক্রিয়তা সৃষ্টি করে।

    ওই কর্মকর্তার মন্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ইরানি কর্তৃপক্ষ বোমা হামলার আগেই হয়তো ওই স্থাপনাগুলো থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বা তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে ফেলেছিল।

    ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে রোববার রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে লিখেছেন, আমরা ইরানে পারমাণবিক কেন্দ্রতে সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। যারমধ্যে রয়েছে ফর্দো, নাতানজ এবং ইসফাহান। সব বিমান এখন ইরানি আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।

    ট্রাম্প আরও লিখিছেন, মাটির ২৬২ ফুট গভীরে থাকা ফর্দো পরমাণু কেন্দ্রে ভারি বোমা ফেলেছেন তারা। হামলা চালানো বিমানগুলো এখন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেছে।

    তবে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই তিনটি পরমাণু কেন্দ্রের পারমাণবিক উপকরণ সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইরান।

    দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভির উপ-রাজনৈতিক পরিচালক হাসান আবেদিনি একটু আগে টিভিতে সরাসরি কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আগেই আমরা তিনটি পরমাণু কেন্দ্র আগেই খালি করে ফেলেছিলাম। যদি ট্রাম্পের কথা সত্যি হয়ও আমরা বড় ধরনের কোনো ক্ষতির মুখে পড়িনি। কারণ পারমাণবিক উপকরণ আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরান। দেশটি জানিয়েছে, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলায় কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থা কোমের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলছে, ফোরদোর কিছু অংশ বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    কোম প্রভিন্সিয়াল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট হোডকোয়ার্টারের মুখপাত্র মোর্তেজা হায়দারি বলেন, কয়েক ঘণ্টা আগে, কোমের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার এবং শত্রু লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করার পর, ফোরদোর কিছু অংশ শত্রু বিমান হামলায় আক্রান্ত হয়েছিল।

    এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে যেই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথা বলছে, আদতে সেখানে এমন কোনো পদার্থ নেই যা তেজস্ক্রিয়তা সৃষ্টি করে।

    ওই কর্মকর্তার মন্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ইরানি কর্তৃপক্ষ বোমা হামলার আগেই হয়তো ওই স্থাপনাগুলো থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বা তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে ফেলেছিল।

    ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে রোববার রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে লিখেছেন, আমরা ইরানে পারমাণবিক কেন্দ্রতে সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। যারমধ্যে রয়েছে ফর্দো, নাতানজ এবং ইসফাহান। সব বিমান এখন ইরানি আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।

    ট্রাম্প আরও লিখিছেন, মাটির ২৬২ ফুট গভীরে থাকা ফর্দো পরমাণু কেন্দ্রে ভারি বোমা ফেলেছেন তারা। হামলা চালানো বিমানগুলো এখন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেছে।

    তবে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই তিনটি পরমাণু কেন্দ্রের পারমাণবিক উপকরণ সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইরান।

    দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভির উপ-রাজনৈতিক পরিচালক হাসান আবেদিনি একটু আগে টিভিতে সরাসরি কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আগেই আমরা তিনটি পরমাণু কেন্দ্র আগেই খালি করে ফেলেছিলাম। যদি ট্রাম্পের কথা সত্যি হয়ও আমরা বড় ধরনের কোনো ক্ষতির মুখে পড়িনি। কারণ পারমাণবিক উপকরণ আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।

  • পৃথিবীর শান্তি-মানবতা ধ্বংস করছে ইসরাইল : হেফাজতে ইসলাম

    নিজস্ব প্রতিবদক : চলমান ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।

    শনিবার সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতি তারা বলেন, ইসরাইল পৃথিবীর শান্তি ও মানবতা ধ্বংস করছে। মুসলিম বিশ্বকে আসন্ন মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। ইসরাইলের পতন অনিবার্য বলেও মন্তব্য করেন তারা।

    বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, চলমান ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে আমরা গণহত্যাকারী দখলদার জায়োনিস্ট ইসরাইলের ধ্বংস কামনা করি। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মার্কিন শাসকগোষ্ঠী সবসময় ইসরাইলের সব আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধ সমর্থন দিয়ে গেছে। শুধু তা-ই নয়, বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম ও গোয়েন্দা সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলকে। জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি প্রভাবশালী দেশও এতে জড়িত। ইসরাইল একা নয়। ইসরাইলের ভাগ্য মিশে আছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও ইউরোপের মোড়ল দেশগুলোর পতনের সাথে। ফলে পৃথিবী ক্রমে একটি মহাযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আমরা মনে করি। সাম্রাজ্যবাদের দাসত্ব, ভোগবাদিতা ও উদাসীনতা পরিহার করে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে আসন্ন সেই মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। আধুনিক যুদ্ধকৌশল ও সামরিক উৎকর্ষ লাভে মুসলিম বিশ্বকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে আরো এগিয়ে যেতে হবে।

    তারা আরো বলেন, যখন ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল, তখন কথিত মানবতার ধ্বজাধারী আমেরিকা নিশ্চুপ দেখে যায়। আর ইসরাইল প্রতিরোধের শিকার হলেই হুক্কাহুয়া রব তোলে নির্লজ্জ ইউরোপ-আমেরিকা। তাদের মুখোশ খসে পড়ে। এরা কখনো বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, বরং বারবার যুদ্ধ ও ধ্বংস ডেকে এনেছে। মুসলিম বিশ্বকে পদানত করতে চেয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত পরাজয় বরণ করে লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়।

    হেফাজত নেতারা বলেন, মুসলিম বিশ্বের ওপর বারবার যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ইরানকে যুদ্ধে নামতে বাধ্য করেছে আমেরিকা ও ইসরাইল। ইরানকে দমাতে পারলে অন্যান্য প্রভাবশালী মুসলিম দেশেও আগ্রাসন চালানো হতে পারে। সামরিকভাবে শক্তিশালী কোনো মুসলিম রাষ্ট্রকে টিকে থাকতে দিতে চায় না ইউরোপ-আমেরিকা। ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে সেই পুরনো ক্রুসেড আধুনিক রূপে আজও তারা জারি রেখেছে।

  • ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ মোকাবেলায় রাজনৈতিক শক্তির ঐক্য অপরিহার্য’

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ফ্যাসিবাদি শাসনের পুনরাবৃত্তি ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ মোকাবেলায় ইসলামী ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক শক্তির ঐক্য অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, অতীতে আমরা যেভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকেছি, ভবিষ্যতেও সেই ঐক্য অটুট রাখতে হবে।

    শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মাসিক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    বৈঠকে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সমসাময়িক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। পরে ২৭ জুন ‘মুসলিম ভূখণ্ডে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে’ দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া ২৯ জুন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিকশা প্রতিকে মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীদের সাক্ষাৎ গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনার দিন নির্ধারিত হয়।

    দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের পরিচালনায় বৈঠকে মামুনুল হক আরো বলেন, ইরান ও অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ কেবল ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত নয়; এটি ইনসাফ বনাম দখলদারিত্বের একটি স্পষ্ট রূপ। ইরান যে সাহসিকতায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি আত্মমর্যাদাময় দৃষ্টান্ত। এটি কেবল ফিলিস্তিন নয়—সারা মুসলিম জাতির অস্তিত্ব ও আত্মরক্ষার লড়াই।

    তিনি বলেন—ইসলামী বিশ্বের সকল শক্তিকে এখন ঐক্যবদ্ধভাবে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে তাদের আকাশপথ ইসরাইলের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। এই মুহূর্তে দ্বিধাহীন ও আপসহীন ইনসাফের পক্ষে অবস্থান নেওয়া সময়ের জরুরি দাবি।

    ‘জুলাই সনদ’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন—ঘোষিত সম্ভাব্য জাতীয় ঐক্যরূপরেখা একটি জবাবদিহিমূলক রাজনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে। তবে তাতে ইসলামপন্থীদের যথাযথ স্বীকৃতি ও অংশগ্রহণ না থাকলে প্রকৃত জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে না,বরং স্থিতিশীলতা আরও সংকটাপন্ন হবে।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন—সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মুফতি সাঈদ নূর, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মুফতি ওজায়ের আমীন, মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, মাওলানা মুহসিনুল হাসান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

  • দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন : এ জেড এম জাহিদ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

    শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ) আয়োজিত ‘রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ও বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।

    জাহিদ হোসেন বলেন, গুটিকয়েক মানুষ যেভাবে বলবে দেশ সেভাবে চলতে পারে না। আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালেও পালিয়েছে, ২০২৪ সালেও একই কাজ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সমস্যা দেখে পালিয়ে যাননি বরং তার সমাধান করেছেন। তাঁর সততা ও দেশ প্রেম ছিল প্রশ্নহীন।

    বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি জন আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে বলেই তারা রাষ্ট্র কাঠামোর মেরামতের জন্য ৩১ দফা প্রণয়ন করেছে। জাতিকে ছোট করার জন্য সব ধরনের কাজ করছে বিগত আওয়ামী সরকার। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি চর্চা করে। তারা বিএনপির চেয়ারপারসনের ওপর অনেক নির্যাতন চালিয়েছে।

    খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো আছে বলেন জানান জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের ক্ষমতার কোনো মোহ ছিল না। তার শাসনামলে প্রথম চাল রপ্তানি হয়েছিল। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ দিয়েই তিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

    এনআরএফ সদস্য সচিব ফরিদ আহম্মেদের সঞ্চালনায় সংগঠনটির আহ্বায়ক ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন রুনু। বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এম শহীদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস, এ, ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন প্রমুখ।