রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপি চায় উৎসব মুখর নির্বাচনি পরিবেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হউক : আমিনুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বিএনপি চায় উৎসব মুখর নির্বাচনি পরিবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হউক। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া ৩১ দফা রুপরেখার বাস্তবায়নে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিপূর্ণ সংষ্কার হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে পল্লবীর কালশী মোড়ে স্ট্যান্ডার্ড পিপলস জেনারেল রিহ্যাবলিটেশন কমিটি কুর্মিটোলা শাখা (এসপিজিআরসি) ও উর্দুভাষী যুব ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর ধরে এদেশের মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম করছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। সেই কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ১৭ বছর যে স্বৈরাচার ছিল, ভবিষ্যতে আমরা আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশি হিসেবে সকলে একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে। যেভাবে আমরা সকলে স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারব।

২০১৪ সালে কালশীর উর্দুভাষীদের কুর্মিটোলা ক্যাম্পের ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, এদেশের সাধারণ মানুষের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে যারা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, দ্রুত তাদের প্রত্যকের বিরুদ্ধে মামলা করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

উর্দুভাষী বিহারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপির নেতাকর্মীসহ এদেশের সাধারণ মানুষ স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনকে নিশ্চিত করার জন্য আমরা আপনারা সকলে একসাথে কাজ করেছি। আপনারা সকলেই একজন বাংলাদেশি। আমি আপনাদেরকে আলাদা করে দেখতে চাই না। আপনারা আমার পরিবারের একেক জন সদস্য। আপনাদের সুখে দুঃখে সবসময় আমি আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনাসহ তার দোসররা যারা গত ১৭ বছর আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে, গুম করছে, খুন করেছে। গত ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা আমাদের ছাত্র ভাইদেরকে হত্যা করেছে, বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করেছে এবং এদেশের সাধারণ মানুষদেরকে হত্যা করেছে, সেই প্রত্যকটি আওয়ামী স্বৈরাচারের প্রেত্নাতা ও তাদের দোসরদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

হত্যাকান্ডের ১১ বছর পর নিহত ১০ জনের মধ্যে তাদের পরিবারের বেঁচে যাওয়া একমাত্র সদস্য ফারজানার ভরনপোষণের সকল দায় দায়িত্বও গ্রহণ করেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক।

এসপিজিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, এসপিজিআরসি কুর্মিটোলা শাখার সভাপতি সাদাকাত হোসেন ফাক্কু, কুর্মিটোলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী বাবলু, কুর্মিটোলা শাখার সহসভাপতি মঈনুদ্দিন হোসেন মুন্না প্রমুখ।