আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কেনিয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভে দেশজুড়ে ১১ জন নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন কমপক্ষে ৫৬৭ জন। সোমবার এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে ৫২ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের ৩৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দেশটির রাজধানী নাইরোবিতে বিক্ষোভ অংশ নেয় শত শত মানুষ। এসময় বিক্ষোভ দমনে গুলি ছোড়ে পুলিশ।
১৯৯০ সালের ৭ জুলাই কেনিয়ার জনগণ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল আরাপ মোইয়ের বহু বছরের স্বৈরশাসনের পর বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফিরে আসার দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামে। দিনটির স্মরণে দেশটিতে প্রতি বছর ৭ জুলাই সমাবেশ করে গণতন্ত্রপন্থীরা।
সোমবার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো’র পদত্যাগ দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। প্রধান প্রধান সড়ক, প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন, স্টেট হাউজ এবং কেনিয়ার সংসদ ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থানগুলোর আশপাশে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙ্গার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে। রাজধানী নাইরোবি ছাড়িয়ে অন্যান্য শহরেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
বিভিন্ন চেকপয়েন্টে গাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এতে অনেকে রাস্তায় আটকা পড়েন। বিক্ষোভের জেরে বেশিরভাগ স্কুল এবং অন্তত একটি শপিং মল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে সহিংসতা ও উস্কানির মুখে সংযম এবং পেশাদারিত্বের প্রদর্শন করায় পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশংসা করা হয়েছে।
গত জুন মাসে দুর্নীতি, পুলিশি বর্বরতা এবং সরকারের সমালোচকদের গুম হওয়ার ঘটনার বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ হয়। যা সহিংস সংঘর্ষে রূপ নেয়।