আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগামী ১৬ জুলাই ইয়েমেনে ভারতীয় নাগরিক নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। দণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা এ নারীকে বাঁচাতে চলছে সর্বোচ্চ চেষ্টা। ইয়েমেনে ইসলামি শরীয়া অনুযায়ী যেহেতু ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড এড়ানো যায়, এখন সেই পথেই হাঁটা যাচ্ছে। তার জন্য তৈরি করা একটি সংগঠন এক মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ৮ কোটি রুপির সমান।-সূত্র: গালফ নিউজ।
আগামী ১৬ জুলাই দণ্ড কার্যকরের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি গত তিন বছর ধরে ইয়েমেনের কারাগারে বন্দি আছেন। তার স্বামী টমি থমাস জানিয়েছেন, প্রিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিন সম্পর্কে জানানো হয়েছে। তিনি এরপর থেকে মুষড়ে পড়েছেন।
প্রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ কী?:
প্রিয়া ভারতের কেরালার পালাক্কাদ বিভাগের কোলেনগোদের বাসিন্দা। তিনি ২০০৮ সালে ইয়েমেনে যান। সেখানে নার্স হিসেবে বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করার পর নিজস্ব ক্লিনিক খোলেন।
তিনি ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আবদো মেহদীর সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা শুরু করেন। তবে ২০১৭ সালে তাদের মধ্যে ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এরপর তিনি মেহেদীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করেন।
যদিও প্রিয়ার পরিবারের দাবি মেহদী তার পাসপোর্ট আটকে রেখেছিল। আর নিজের পাসপোর্ট পেতে তিনি মেহদীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। কিন্তু এর প্রভাবে তার মৃত্যু হয়।
প্রিয়া ইয়েমেন থেকে পালানোর চেষ্টার সময় গ্রেপ্তান হন। এরপর ২০১৮ সালে তাকে হত্যায় অভিযুক্ত করা হয়।
তাকে ছাড়াতে বিভিন্ন সংস্থা ক্যাম্পেইন করেছে। এছাড়া মেহদীর পরিবারকে ইসলামিক আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতেও চেয়েছে প্রিয়ার পরিবার। কিন্তু তারা যতটা ক্ষতিপূরণ দিতে চাচ্ছেন সেটিতে রাজি হয়নি মেহদীর পরিবার। এ কারণে আগামী ১৬ জুলাই ফাঁসির দঁড়িতে ঝুলতে হবে প্রিয়াকে।