 
  
																
ফেনী প্রতিনিধি : ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধকে আরও শক্তিশালী ও টেকসই করতে বড় প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক। তিনি বলেছেন, “এই কাজ এক নম্বর হতে হবে। যাদের দিয়ে কাজটি করানো সম্ভব, তাদেরই দায়িত্ব দেওয়া হবে। এটি ছোটখাটো কোনো কাজ নয়, অনেক বড় প্রকল্প। তাই কারিগরি দক্ষতা থেকে শুরু করে আয়োজন-উদ্যোগ—সবকিছুই এক নম্বর হতে হবে।”
শনিবার সকালে ফুলগাজীর আলী আজম উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে এখানকার বাঁধ এই ধরনের বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে সক্ষম নয়—এটা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে পরিষ্কার। তাই একটি শক্তিশালী ও টেকসই বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন। এ প্রকল্প যেন যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে, তা নিশ্চিত করা হবে।”
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বলেন, “ত্রাণ বিতরণে কোনো অসঙ্গতি হচ্ছে কিনা এবং দুর্গত মানুষদের প্রয়োজনীয় সহায়তা মিলছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এসেছি। বন্যাকবলিত মানুষদের কাছ থেকে সরাসরি সমস্যার কথা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে বাস্তবধর্মী উদ্যোগ নেওয়া যায়। সরকারও তাদের অভিজ্ঞতা ও দাবি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
এ সময় ক্ষতিগ্রস্থরা উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ করেন, পানিবন্দি অবস্থায় ত্রাণ সহায়তা সময়মতো পাননি তারা। পাশাপাশি তারা মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর প্রায় ১২২ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধকে টেকসইভাবে পুনর্নির্মাণের দাবি জানান।
আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনের পর উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম ফুলগাজীর মুন্সিরহাট এলাকার আজমিরি বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র এবং দক্ষিণ শ্রীপুর পূর্বপাড়ায় মুহুরী নদীর ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখেন।
এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে তিনি ফেনী সার্কিট হাউসে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় অংশ নেন। সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।