আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজার মানবিক সংকট নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘বাস্তবতা অস্বীকার করছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ।
সোমবার অস্ট্রেলিয়া প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর একদিন পর, মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলবানিজ এই সমালোচনা করেন।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির বিষয়টি তুললেও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী তার আগের অবস্থানই পুনরাবৃত্তি করেন এবং নিরপরাধ মানুষের ওপর চলমান বিপর্যয় অস্বীকার করেন।
আলবানিজ সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে অস্ট্রেলিয়া। তবে এই স্বীকৃতি শর্তসাপেক্ষ—ভবিষ্যতের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না বলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ডানপন্থি বিরোধীদলীয় নেতা সুসান লে এই সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন, কারণ ওয়াশিংটন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
গাজায় ক্ষুধা ও অপুষ্টির খবর এবং ইসরাইলের সামরিক নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা প্রকাশের পর অস্ট্রেলিয়ায় জনমত দ্রুত বদলে গেছে। চলতি মাসে সিডনির হারবার ব্রিজে হাজারো মানুষ গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর দাবিতে মিছিল করেছে। আগে জনমতের বিভক্তির কারণে বিষয়টিতে সতর্ক ছিল আলবানিজের মধ্য-বামপন্থি লেবার পার্টি, তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও নেতানিয়াহুর অভিযান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জনমতের পরিবর্তন ঘটিয়ে সরকারকে অবস্থান বদলাতে প্রভাবিত করেছে বলে বিশ্লেষকদের মত।
অন্যদিকে প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ড এখনো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক এই বিলম্বের সমালোচনা করে বলেন, ‘এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে আমাদের একসঙ্গে আওয়াজ তোলা উচিত—কোনও সূক্ষ্ম বিতর্কে জড়ানো উচিত নয়।’