মুক্তবাণী ডেস্ক : সামরিক বাহিনী পরিচালিত আসন্ন নির্বাচন ‘বিঘ্নিত’ করার অভিযোগে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ২০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বুধবার দেশটির সামরিক জান্তার পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
এ ব্যাপারে মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, এই আইন মূলত ভিন্নমত দমন করার উদ্দেশ্যে প্রণীত এবং এ কারণেই আইনটি প্রয়োগ হতে যাচ্ছে।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারে ২৮ ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে এই নির্বাচন শুরু করার পরিকল্পনাকে জান্তা ‘জাতীয় পুনর্মিলনের পথে একটি পদক্ষেপ’ হিসেবে তুলে ধরছে।
তবে বিরোধী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই নির্বাচন কার্যত সম্ভব হবে না। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিরা এই ভোটকে সামরিক শাসন দীর্ঘায়িত করার অজুহাত হিসেবে দেখছেন এবং তা প্রত্যাখ্যান করছেন।
আসন্ন এই নির্বাচনকে ‘বাধা, বিঘ্ন ও ধ্বংস’ থেকে রক্ষা করার নামে জান্তা সরকার জুলাই মাসে একটি আইন প্রণয়ন করে।
এই আইনে কোন ব্যক্তি ভোটের সমালোচনা করলে বা নির্বাচন বিরোধী প্রতিবাদে অংশ নিলে, তাকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের বরাতে জান্তা সরকারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী টুন টুন নাউং বলেন, ‘আসন্ন এই নির্বাচন প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার চেষ্টার অভিযোগে মোট ২২৯ জনের বিরুদ্ধে এই আইনের আওতায় মামলা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’