গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, নির্বাচন বিলম্বিত হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র সংকটের মধ্যে পড়ে যাবে। নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয়, বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হবে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল অনুপাতিক হারে নির্বাচন চাচ্ছে। নারী আসনে সরাসরি ভোটের কথা বলছেন। তাদের মাথায় কী আছে আল্লাহ জানে। তার পুরো পরিস্থিতি হযবরল করার ষড়যন্ত্র করছে। কারণ অনেক দলের ৩শ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার লোক নেই।
সোমবার বিকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৭ বছর পর টুঙ্গিপাড়া পৌর বাস টার্মিনাল মাঠে বিএনপির এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ সালাহউদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বিএনপি ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান ও সেলিমুজ্জামান সেলিম।
প্রধান বক্তা ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কাজী আবুর খায়ের।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- টুঙ্গিপাড়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান বাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান নাসির, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সুশান্ত সরকার, সদস্য সচিব এমদাদ মোল্লা প্রমুখ।
ড. আসাদুজ্জামান রিপন আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশকে নানাভাবে দুর্বল করার জন্য সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করছে। সীমান্ত দিয়ে পণ্য আমদানি রপ্তানি করতে বাধা সৃষ্টি করছে। শেখ হাসিনা এক সময় বলতেন, ভারতকে আমরা এতকিছু দিয়েছি, সারা জীবন তারা মনে রাখবে। এ কারণে শেখ হাসিনাকে এখন ভারত আশ্রয় দিয়েছে। ভারত এখন আমাদের কাছে যা চায়, তা পায় না বলেই একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। মানুষকে অশান্ত করে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করার করার চেষ্টা করছে। এসব কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত এখন বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে। তাই ভারতকে বলতে চাই, আপনারা কি এখন আওয়ামীবান্ধব প্রতিবেশী থাকবেন, নাকি জনবান্ধব প্রতিবেশী হবেন।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। সড়কের ওপর বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয় তোরণ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে অংশ নেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্রামবাংলার লাঠিখেলা সবার দৃষ্টি কাড়ে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে শেখ সালাহউদ্দিন আহম্মেদকে সভাপতি ও মনিরুজ্জামান বাবলুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট টুঙ্গিপাড়া উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া এমদাদ হোসেন মোল্লাকে সভাপতি ও জিহাদুল ইসলাম বাবুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট টুঙ্গিপাড়া পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়।