শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৬ সফর, ১৪৪৭ হিজরি

টঙ্গীতে সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় সুযোগ দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন


টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি : সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে মানববন্ধন করেছে।
‎বুধবার দুপুরে গাজীপুর প্রাইভেট স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী বাজার, স্টেশন রোড, চেরাগআলী ও কলেজগেট, বোর্ড বাজার এলাকায় একযোগে এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
‎মানববন্ধন থেকে ‘জুলাই বিপ্লবের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই, শিক্ষা একটি অধিকার, অনুগ্রহ নয়’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
এসময় টঙ্গী প্রেসক্লাবের সামনে গাজীপুর প্রাইভেট স্কুল এসোসিয়েশন টঙ্গী পূর্ব থানার সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহ্বায়ক প্রভাষক বসির উদ্দিন, সংগঠনের পশ্চিম থানা সভাপতি মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম জনি, পূর্ব থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, অর্থ সম্পাদক সোহেল ভূঁইয়া প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে চলেছে। কিন্তু হঠাৎ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ১৭ জুলাই কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে শুধুমাত্র সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তির ঘোষণা দিয়ে একটি বিতর্কিত পরিপত্র প্রকাশ করে। যা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চরম বৈষম্যমূলক আচরণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বক্তারা আরো বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা ও ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক কৃতিত্ব অর্জন করেছে।

বক্তারা বলেন, বৃত্তি শুধু একটি আর্থিক অনুদানই নয় এটি একটি শিশুর আত্মবিশ্বাস, মেধার স্বীকৃতি এবং শিক্ষাগত অগ্রগতির অনুপ্রেরণা। যখন একটি শিশু দেখবে তার বন্ধুরা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে কিন্তু শুধুমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ে না পড়ার কারণে সে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেনা তখন তার মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং কোমলমতি শিশুদের মধ্যেই একটি বৈষম্যমূলক মনোভাব তৈরি হবে। কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যদি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারে তাহলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ মানষিক চাপ ও যন্ত্রণার সম্মুখীন হবে। তার দায়-দায়িত্ব সরকারের উপরেই বর্তাবে। জুলাই বিপ্লবে বৈষম্যের বিরুদ্ধে অনেক শিক্ষার্থীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী সরকার। সেই সরকারের আমলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আবার বৈষম্যের শিকার হবে এটি কোন অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায়না।