বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৪ কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৭ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

শাপলা প্রতীক না দিলে নির্বাচন কমিশন দায়ী হবে: এনসিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জানিয়েছে, শাপলা প্রতীক না পেলে তারা নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন গ্রহণ করবে না। দলটির দাবি, প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হলে তার দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘শাপলা ছাড়া নিবন্ধন মানবে না এনসিপি। নিবন্ধন ছাড়া একটি দল নির্বাচনে যাবে কী করে? এই কারণে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে এর দায় কিছুটা নির্বাচন কমিশনেরও থাকবে।’

তিনি জানান, ‘শাপলা প্রতীক পাওয়ার দাবিতে তারা গণতান্ত্রিক লড়াই চালিয়ে যাবেন এবং অধিকারের প্রশ্নে কোনো আপস করবেন না।’ বিষয়টি অনেক দূর গড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘ইসির সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে- হয় এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে হবে, নয়তো বর্তমানে নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত ধান, সোনালী আঁশ, তারা- এই প্রতীকগুলো বাতিল করতে হবে।’

তার ভাষ্য, শাপলা প্রতীক হিসেবে নিতে কোনো আইনি বা রাজনৈতিক বাধা নেই। তবে একটি অদৃশ্য শক্তির হাত রয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন এখনো শাপলা প্রতীক না দেয়ার বিষয়ে কোনো আইনি বা রাজনৈতিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

দলের মুখ্য সমন্বয়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘এনসিপি দাবি জানিয়েছে যে নির্বাচনের দিন যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তারা যেন ভোট দেয়ার সুযোগ পান।’

যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, ‘জাতীয় লীগের মতো অকার্যকর ও বিলুপ্ত দলের নিবন্ধন দেয়ার প্রক্রিয়ায় জড়িত নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা।’

আজকের বৈঠকে এনসিপির জন্য শাপলা প্রতীক বরাদ্দই ছিল সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। দলটি দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে, তারা শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করতে চায় এবং আশাবাদী যে নির্বাচন কমিশন বিধিমালায় শাপলা প্রতীক যুক্ত করে তা তাদের বরাদ্দ দেবে।