শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: ভারত কেন জটিল পরিস্থিতিতে

মুক্তবাণী ডেস্ক:

চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হাসিনার এ মৃত্যুদণ্ড ভারতকে জটিল পরিস্থিতিতে ফেলেছে। কারণ বাংলাদেশ এখন তাকে ফেরত পেতে আরেকটি প্রত্যর্পণ অনুরোধ ইস্যু করবে, যা ইতোমধ্যেই করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর তাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ দুইবার প্রত্যর্পণ অনুরোধ পাঠায়। তবে ভারত সে অনুরোধে সাড়া দেয়নি। যদিও ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে অপরাধীদের প্রত্যর্পণ চুক্তি বিদ্যমান।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুক্তি থাকলেও ভারত হাসিনাকে ফেরত নাও দিতে পারে। যদি তারা মনে করে হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা অসৎ উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে, তাহলে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে।

বিবিসি জানিয়েছে, ক্ষমতায় থাকার সময় শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোও তাকে ফেরত না পাঠাতে একমত। এসব কারণে ভারত এখন বেকায়দায় পড়েছে। তারা যদি হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে বাংলাদেশ এটিকে কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে দেখবে। যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও খারাপ করতে পারে।

ভারতের জন্য বাংলাদেশ কেবল প্রতিবেশী নয়, কৌশলগত দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে সীমান্ত থাকায় নয়াদিল্লির কাছে ঢাকার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। সূত্র: বিবিসি